পাইকারি থেকে খুচরা বাজারে আসতেই দ্বিগুণ বেড়ে যায় সবজির দাম
শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২২ PM

পাইকারি থেকে খুচরা বাজারে আসতেই দ্বিগুণ বেড়ে যায় সবজির দাম

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১/১০/২০২৫ ০৬:২৮:৩৩ PM

পাইকারি থেকে খুচরা বাজারে আসতেই দ্বিগুণ বেড়ে যায় সবজির দাম


নগরীর সবজির বাজারে এখনও ফেরেনি স্বস্তি। পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে দ্বিগুণেরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

শনিবার সকালে নগরের বন্দরবাজার, আম্বরখানা ও মদিনামার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র। তবে দামের লাগাম টানার কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।

ক্রেতারা বলছেন, পাইকারি ও খুচরা দামের ব্যবধান এতটাই বেশি যে মনে হয় বাজারে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।

তবে বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারি বাজারেই চড়া সবজির দাম। তাছাড়া চাহিদার তুলনায় রয়েছে সবজির সংকট। যার কারণে বাধ্য হয়েই বেশি দামে সবজি কিনে আনতে হচ্ছে।

অথচ সিলেটের সোবহানীঘাট এলাকার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারের চেয়ে অর্ধেক দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য দুয়েকটি সবজির দাম পাইকারি বাজারেও বেশি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। খুচরা বাজারে সেই বরবটি ৫০০ গ্রাম বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। অর্থাৎ ৮০ টাকার বরবটি খুচরা বাজারে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এরকম প্রায় প্রতিটি সবজি খুচরা বাজারে দিগুণ দরে বিক্রি হচ্ছে।

শনিবার সিলেটের পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি পটোল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, প্রতিকেজি কচুরলতি মানভেদে ১৫-২৫ টাকা, শসা ৪০ টাকা, মুলা ৪০-৫০ টাকা, টমেটো ৭০-৮০ টাকা, আলু ২০ টাকা, কাকরোল ৪০-৫০ টাকা ও কাঁচামরিচ ১২০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারি বাজারের ক্রেতা সাকিব আহমদ বলেন, খুচরা বাজারে সবজির দাম দিগুণ। এজন্য পাইকারি বাজার থেকে সবজি কিনতে এসেছি। তবে এখানে ৫ কেজির কমে অনেকেই সবজি বিক্রি করতে চান না। তাই অন্যান্য ক্রেতাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে সবজি কিনতে হচ্ছে।

নগরের কাজলশাহ এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মান্না বলেন, প্রতিদিন বাজারে গেলে মনে হয় দামের কোনো ঠিক নেই। এক দোকানে যা বলছে, পাশের দোকানে আরও বেশি। পাইকারিতে যে দামে বিক্রি হয়, খুচরায় তার দ্বিগুণ দাম নিচ্ছে।

এদিকে সিলেটে মাছের বাজারও বেশ চড়া। নগরীর আম্বরখানা ও মদিনা মার্কেট এলাকায় মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি রুই (ছোট সাইজ) ২৫০-২৮০ টাকা, রুই (বড় সাইজ) ৩৫০-৪৫০ টাকা, গ্রাসকার্প ৩৫০-৪০০ টাকা, টেংরা মাছ ৪৫০-৬০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৫০ টাকা, পাঙাস মাছ ২০০-২২০ টাকা, পাবদা ৩৩০-৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও চাষের কই ১৮০-২৫০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৬০০-৭০০ টাকা ও কার্প মাছ প্রতিকেজি মানভেদে ৩২০-৩৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহের মতো ব্রয়লার মুরগির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে দাম প্রায় সমান ছিল। একইভাবে ডিমের দামও স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতি হালি ডিম ৪৫-৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মদিনা মার্কেট এলাকার মুরগি ব্যবসায়ী সজিবুল ইসলাম বলেন, এ সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম পরিবর্তন হয়নি। তবে কিছুটা কমেছে সোনালী মুরগির দাম। তাছাড়া গরুর মাংস অন্যান্য দিনের মতো প্রতিকেজি ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আজকের সিলেট/ডি/এসটি

সিলেটজুড়ে


মহানগর