নিজস্ব প্রতিবেদক 
জেলা তথ্য অফিস, সিলেটের উদ্যোগে ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় “টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫” উপলক্ষে স্কাউটস ও গার্লসগাইডদের নিয়ে এক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথি সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মোঃ রেজা-উন-নবী বলেন, স্কাউটসসহ নতুন প্রজন্মের চিন্তা ও কাজে বিশুদ্ধতা রয়েছে। শৃঙ্খলা ও মানবিকতার সঙ্গে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারই বাংলাদেশকে দ্রুত উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী প্রজন্মের সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য সচেতনতার বিকল্প নেই। প্রতিরোধই প্রতিকারের চেয়ে উত্তম। যক্ষা, গুটিবসন্ত বা পোলিওর মতো প্রাণঘাতী রোগ আজ প্রায় বিলুপ্ত, কারণ মানুষ সময়মতো টিকা নিয়েছে। টাইফয়েডও সময়মতো টিকা নিলে প্রতিরোধ করা সম্ভব। সঠিক তথ্য নিয়মমাফিক জনগণের কাছে উপস্থাপন করতে পারলে অনেক সমস্যাই আর সমস্যা থাকে না। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে টাইফয়েড জ্বর বিষয়ক একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন মেডিকেল অফিসার ডাঃ স্বপ্নীল সৌরভ রায়। তাঁর উপস্থাপনায় টাইফয়েড জ্বরের কারণ, সংক্রমণ পদ্ধতি, জীবাণুর সুপ্তকাল, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী, লক্ষণসমূহ, টিকা প্রদানের নিষেধাজ্ঞা, টিকা কেন্দ্রের তথ্য, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও টিকা রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, সিলেট জেলায় টাইফয়েড টিকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ ১৬ হাজার ৫০২ জন এবং পুরো সিলেট বিভাগে প্রায় ৩০ লাখ। স্বাস্থ্য বিভাগ শতভাগ লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, টিকা নিয়ে মানুষের আগ্রহ থাকলেও কিছু অপপ্রচার ও গুজব অনেককে বিভ্রান্ত করতে পারে। তাই স্কাউটসসহ শিক্ষার্থীদের আরও সচেতন ভূমিকা নিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় তথ্য অফিসের পরিচালক মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন বলেন, স্কাউটসদের টিকা রেজিস্ট্রেশন ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে এই কর্মশালা থেকে বিস্তারিত জেনে নিজেদের স্কুল-কলেজ ও এলাকায় প্রচারণা চালাতে হবে। স্কাউটসদের শৃঙ্খলাবদ্ধ সহযোগিতা ও স্বেচ্ছাসেবা এই ক্যাম্পেইনকে সফল বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ সিলেট অঞ্চলের প্রধান কাজী দিল আফরোজা ইসলাম, বাংলাদেশ স্কাউটস সিলেট অঞ্চলের উপপরিচালক তাপস কান্তি গোলদার, জেলা শিক্ষা অফিসার আবু সাঈদ মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ এবং ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ জন্মেজয় দত্ত। এছাড়া গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রচার) ডালিয়া ইয়াসমিন ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা তথ্য অফিসের সহকারী পরিচালক রকিবুল হাসান।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা টাইফয়েড প্রতিরোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আজকের সিলেট/এপি
