
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশে গড়ে উঠেছে আবর্জনার স্তুপ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ মুজতবা আলী হল ও শাহপরান হলের ডাইনিং, ক্যান্টিন এবং টং দোকানের উচ্ছিষ্ট প্রতিদিন খোলা জায়গায় (টিলায়) ফেলা হচ্ছে। টিলাজুড়ে ছড়িয়ে আছে পলিথিন, প্লাস্টিক বোতলসহ নানান বর্জ্য।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এসব আবর্জনার কারণে পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। ময়লার স্তূপে বিড়ালের আনাগোনা বেড়ে গেছে, যেগুলো আবার ডাইনিং, ক্যান্টিন ও রুমে ঢুকে পড়ছে। এতে রোগ বালাই ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। বর্ষাকালে এসব বর্জ্য পচে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে হলে বসবাস অসহনীয় হয়ে ওঠে।
পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীন এক্সপ্লোর সোসাইটির প্রেসিডেন্ট জাহ্নবী দত্ত বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে এধরনের কার্যক্রম একদমই কাম্য নয়। ইদানিং যেখানে সেখানে ময়লা ফেলার প্রবণতা অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। সবারই নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হওয়া উচিত। আর শীঘ্রই এ বিষয়ে প্রশাসনের সাথে কথা বলব।
তবে সৈয়দ মুজতবা আলী হলের সুপারভাইজার নান্টু রঞ্জন রায় বলেন, এগুলো হল ভবন থেকে খানিকটা দূরে। এতে হলের শিক্ষার্থীদের খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা না।
সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম জানান, তিনি এ বিষয়ে অবগত ছিলেন না, তবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাহপরান হলের প্রভোস্ট ড. ইফতেখার আহমেদ বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের অবহেলার কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সাধারণত ময়লা জমা করার জন্য হল থেকে দূরে একটি পরিখা আছে এবং সিসিকের গাড়ি নির্দিষ্ট সময় পর সেগুলো নিয়ে যায়। কিন্তু সম্প্রতি সিসিক অনিয়মিতভাবে ময়লা সংগ্রহ করছে।
পরবর্তী সময় তিনি জানান, বিষয়টি অবহিত করার একদিনের মধ্যেই সব আবর্জনা সরিয়ে ফেলা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আর যেন এমন না হয় সে বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের মতে ময়লা অপসারণের সহজ উপায় হলো নির্দিষ্ট স্থানে ১০–১৫টি ড্রামে ময়লা জমানো এবং সেখান থেকে সিসিকের গাড়ি সহজেই বর্জ্য সরাতে পারবে।এছাড়াও অস্থায়ী ডাস্টবিনও তৈরি যায় যেখানে সল্প সময়ে জন্য ময়লা জমা থাকবে। এতে করে ময়লা ছড়াবে না এবং পরিবেশ দূষণও অনেকটা কমবে।
আজকের সিলেট/ডি/এসটি
