কৃতিত্বের সঙ্গে পড়াশোনা শেষে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ
পেয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩ জন শিক্ষার্থী।
গত ৭ সাত বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে নিয়োগকৃত ১৫৩ জন শিক্ষকের
মধ্যে এ জায়গা করে নেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
২০১৭
সালের ২১ আগস্ট ১১তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক
ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এরপর প্রথম মেয়াদ শেষে দ্বিতীয় মেয়াদের ২০২৪ সালের
মার্চ পর্যন্ত ১৫৩ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন উপাচার্য। এতে শাবিপ্রবি
থেকে ১০৩ জন শিক্ষার্থী প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে ২০ জন, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) থেকে ৮
জন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) থেকে ৫ জন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
(রাবি) থেকে ২ জন, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)
থেকে ১ জন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১জনসহ মোট ৫০জন নিয়োগ পেয়েছেন।
শাবি
থেকে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
(সিএসই) বিভাগে ৬ জন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং
(ইইই) বিভাগে ৮ জন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং
(আইপিই) বিভাগে ৫ জন, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স (এফইএস)
বিভাগে ৮ জন, আর্কিটেকচার বিভাগে ৬ জন, ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড
কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইআইসিটি) বিভাগে ৬ জন, জিওগ্রাফি অ্যান্ড
এনভায়রনমেন্ট (জিইই) বিভাগে ৬ জন, পেট্রোলিয়ম অ্যান্ড মাইনিং
ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগে ৫ জন, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড
বায়োটেকনোলজি (জিইবি) বিভাগে ৪ জন, গণিত বিভাগে ৩ জন, পরিসংখ্যান বিভাগে ৩
জন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ৪ জন, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার
সায়েন্স (সিইপি) বিভাগে ৩ জন, সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল
ইঞ্জিনিয়ারিং (সিইই) বিভাগে ৫ জন, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি
(এফইটি) বিভাগে ৩ জন, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি)
বিভাগে ৫ জন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৫ জন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ৩ জন,
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এমইই) বিভাগে ৪ জন, রসায়ন বিভাগে ২ জন,
ব্যবসায় প্রশাসন (বিবিএ) বিভাগে ৩ জন, অর্থনীতি বিভাগে ২ জন, বাংলা বিভাগে
৪ জন, ইংরেজি বিভাগে ২ জন প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
অপরদিকে,
উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের এই সাড়ে ছয় বছরে ৩৫ জন কর্মকর্তা নিয়োগ
পেয়েছেন। এর মধ্যে বৃহত্তর সিলেট (সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার)
অঞ্চল থেকে নিয়োগ পেয়েছেন ১৮ জন, বৃহত্তর কুমিল্লার (কুমিল্লা,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ২ জন ও অন্যান্য জেলা থেকে নিয়োগ পেয়েছেন ১৫ জন ।
এ
সময়ে বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ পেয়েছেন ৫৪ জন।
এর মধ্যে সিলেট বিভাগের চার জেলা থেকে ৩৬ জন, বৃহত্তর কুমিল্লার ৭জন ও
দেশের অন্যান্য জেলা থেকে ১১জন রয়েছেন। এছাড়া এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩৪
জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন সিলেটের
চার জেলার ৯৭ জন, বৃহত্তর কুমিল্লার নিয়োগ পেয়েছেন ৬ জন ও দেশের অন্যান্য
জেলা থেকে নিয়োগ পেয়েছেন ৩১ জন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা ছিল যোগ্যতা ও দক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নিয়োগ দিতে। এরমধ্যে যাদের অ্যাকাডেমিক ভালো ফলাফলের পাশাপাশি গবেষণাপত্র রয়েছে তাদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়কে কিংবা কোনো অঞ্চলকে আলাদাভাবে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটরা দেশবিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গৌরবের।
আজকের সিলেট/ডি/এসটি